প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট - প্রতিদিন 400 টাকা ইনকাম

আপনিও কি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। যদি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি একটা ধারণা পাবেন যে কিভাবে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট পাওয়া যায়। এই আর্টিকেলের মূল আলোচনা হচ্ছে মোবাইল দিয়ে কিভাবে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। এরই সাথে আমি আরো কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছি যেগুলো শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা যায় তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
প্রতিদিন-৩০০-৪০০-টাকা-ইনকাম-করুন-বিকাশে-পেমেন্ট
এখানে দুইটি ভাগ রয়েছে প্রথমটি রয়েছে কোনো দক্ষতা ছাড়াই মোবাইল দিয়ে সহজে টাকা ইনকাম করা। এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে শারীরিক পরিশ্রম দিয়ে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধারণ করে টাকা ইনকাম করার উপায়।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট

মোবাইল ফোন দিয়ে আয় কিভাবে করবেন

আজকাল অনেকেই নিজের মোবাইল ব্যবহার করে আয় করতে পারে যদি তার ইচ্ছা আগ্রহ থাকে। বর্তমানে ইন্টারনেট এবং কিছু ফ্রি অ্যাপ্লিকেশন এত সহজ করে দিয়েছে যে ঘরে বসেই সামান্য সময় দিয়ে আয় করা সম্ভব। যারা নতুন তাদের জন্য প্রথম ধাপ হলো জানতে পারা কোন প্লাটফর্ম থেকে আয় করা সম্ভব এবং সেগুলো কিভাবে কাজ করে। 

আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে চাই কিন্তু আমরা কিছু ভুল করে থাকি আমরা অনেকেই এটা আশা করি যে প্রথম দিনে আমাদের অনেক আয় হবে কিন্তু এটা সম্ভব বাস্তবে এটা সম্ভব নয়। আপনাকে শুরুতে ছোট ছোট কাজ করতে হবে শিখতে হবে ধীরে ধীরে আপনি যখন কাজটা বুঝতে শিখবেন কাজটা ভালো পারবেন তখন আপনার ধীরে ধীরে আয় হবে। 

আমি যদি বলি এর মধ্যে অ্যাপ রিভিউ করা রেফার কোড শেয়ার করা ডাটা এন্ট্রি করা আরো অনেক ছোট কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে। এবং সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে এগুলো শেখার জন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না শুধু সময় দিবেন এবং ধৈর্য ধরবেন। বাজারে অনেক বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস আছে যেগুলো সত্যি টাকা দেয় সেগুলো চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনি যদি ভুয়া অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে লাভবান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহলে আপনি প্রতারণার শিকার হবেন। তাই আপনাকে অবশ্যই বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে এর মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্রতিদিন একটি নিয়ম মেনে কাজ করবেন আপনি চাইলে রুটিন তৈরি করতে পারেন এবং সারাদিনে আপনি এক থেকে দুই ঘন্টা সময় দিলেন আপনার কাজের প্রতি। বেশি একটিভ থাকলে নিয়মিত কাজ করলে আপনি দ্রুত কাজ শিখতে পারবেন দ্রুত কাজ করতে পারবেন এবং আয় ও আপনার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।

তাই নিজেকে আগ্রহী করতে হবে কাজের প্রতি আপনি যে প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন সেই প্ল্যাটফর্মের কাজ ধাপে ধাপে শিখবেন বুঝবেন ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যাবেন। ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করলে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন প্রতিনিধির সাথে ৪০০ টাকা বিকাশে ইনকাম করা কতটা সহজ।

কতটুকু সময় দিলে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা যায় 

প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিকাশে ইনকাম করতে বেশি সময় লাগে না সঠিক কাজ এবং মনোযোগ থাকলে মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে আয় করা সম্ভব। যেগুলো কাজ আপনি বেছে নিয়েছেন সেগুলো কাজ নিয়মিত করতে থাকেন সময় বেশি লাগে না ধৈর্য ধরে কাজ করতে থাকুন। অনলাইনে অনেক কাজ আছে যা কম সময় করা যায় সার্ভে পূরণ ভিডিও রিভিউ বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ম্যানেজমেন্টে কাজগুলো করা ভিডিও এডিটিং ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা। 

সারাদিনে আপনি দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় দিলে এসব কাজ করা যায় খুব সহজে এবং দিনশেষে দেখা যায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পাওয়া যায়। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে কাজ করা। অর্থাৎ আপনি একদিন বেশি কাজ করলেন পরের দিন কম করলেন অথবা পরদিন করলেন না এমনটা যদি হয় তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন না। 

আপনার ইনকামও হবে না সেরকম অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত কাজ করতে হবে যখন যে কাজ আপনি হাতে নেবেন সেটা শেষ করবেন সময়ের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়ে কাজের গতি বাড়ে এবং এর সাথে আইও বাড়ে। তাই প্রতিদিন কিছু সময় দেওয়ার মাধ্যমে বিকাশে পেমেন্ট সহ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা

লেখালেখি করে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে কন্টেন রাইটিং করার দক্ষতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। আর্টিকেল লেখা খুবই সহজ।  আর্টিকেল লিখে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে। 

আপনি যদি প্রতিদিন বাংলা অথবা ইংরেজি আর্টিকেল পোস্ট করেন এবং বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারেন তাহলে গুগল এডসেন্স পাওয়ার মাধ্যমে আপনি ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারবেন। দিন দিন আর্টিকেল রাইটিং এর সংখ্যা বাড়ছে তাই আপনি এই কাজে যদি সময় দেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন। 

নিয়ম মেনে যদি আপনি আর্টিকেল লেখেন তাহলে আশা করা যায় আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনার একটি গুগলে ওয়েবসাইট লাগবে সেখানে আপনি প্রতিদিন আর্টিকেল পোস্ট করবেন মানুষ এটা পড়বে দেখবে ধীরে ধীরে আপনার আর্টিকেলটি মানুষের কাছে ভালো লাগলে আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়বে এবং আপনার গুগল এডসেন্স পেতে সুবিধা হবে। 

অবশ্যই নিজের ভাষায় লিখবেন অন্যের কনটেন্ট অন্যের লেখা আপনি কপি করবেন না গুগলের নীতিমালা পড়ে বুঝে নিয়মের মধ্যে আর্টিকেল লিখবেন নিয়ম ভঙ্গ করবেন না। পড়াশোনা করবেন ধারণা নিবেন জ্ঞানের পরিধি বাড়াবেন যাতে করে আপনি আপনার পাঠকদেরকে কি বোঝাতে চাচ্ছেন আর্টিকেলের মাধ্যমে সেটা যেনো তারা বুঝতে পারে এবং আপনার আর্টিকেলটি পড়ে তারা যেনো নতুন কিছু জানতে পারে। 

আর্টিকেল লেখা একটি সহজ কাজ। ঘরে বসে আপনি খুব সহজেই মুখে বলে টাইপ না করে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। তবে অবশ্যই আমার একটা পরামর্শ থাকবে আগে নিজে পড়বেন নিজে যাচাই-বাছাই করবেন। আপনি যেই টপিক নিয়ে লিখছেন সেটা সত্য কিনা কোনো ভুল তথ্য দিচ্ছেন কিনা এটা অবশ্যই নিজেকে যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। 

আশা করি আমি আপনাদেরকে আর্টিকেল সম্পর্কে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি যদি আপনি আর্টিকেল সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন।

আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রয় করার জন্য মার্কেটে সেল করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা প্রচার করে থাকে যাতে জনগণ তাদের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে এবং ক্রয় করে। এই বিষয়টাকে আপনি লক্ষ্য করে দেখুন যে কোম্পানি তার পণ্য বিক্রি করার জন্য কতগুলো উপায় অবলম্বন করছে এগুলোকে বলা হয় আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং। 

আপনি যদি এই বিষয়টিকে কাজে লাগান তাহলে আপনিও দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন বা তার বেশিও করতে পারেন। তো এটা কিভাবে করবেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন চলুন আপনাদের সামনে আমি বিস্তারিত আলোচনা করছি। 

বর্তমানে অনেক বড় বড় কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চালু করেছে। তাই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার আশেপাশের এলাকায় কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং চালু করেছে এবং তারা কমিশন কি পরিমান দেয়। 

প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য আপনাকে কেন দিবে এটা একটা প্রশ্ন? আপনি কি পারবেন প্রমোশন করতে? 

কোম্পানির পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার যতগুলো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে আপনি সেই সমস্ত প্লাটফর্মকে কাজে লাগাবেন যাতে করে আপনি পণ্যকে ভালো করে প্রচার করতে পারেন। 

প্রথমত আপনার ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপে ফলোয়ার যদি বেশি থাকে তাহলে সেখানে আপনি কোম্পানির পণ্য প্রমোশন করতে পারেন। সেখানে আপনি কোম্পানির পণ্যের লিংক, উদ্দেশ্য, কাজে গুণাবলী, ব্যবহার,‌ এর গুরুত্ব সব কিছু তুলে ধরলেন যাতে জনগণ জানতে পারে এই পণ্যের উপকারিতা সম্পর্কে।

আপনি আপনার নিজের চিন্তা ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কোম্পানির পণ্যকে কিভাবে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায় যাতে জনগণ দেখলে উৎসাহিত হয় কিনার জন্য সে বিষয়টি বিবেচনা করবেন। আপনার যদি গুগলে একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সে ওয়েবসাইটে আপনি পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিলেন লিংক দিলেন বিভিন্নভাবে প্রমোট করলেন। 

এইভাবে যতজন আপনার দেওয়া লিংককে ঢুকে কোম্পানির পণ্য পছন্দ অনুযায়ী কিনে তাহলে যতজন কিনবে কোম্পানি ওটার উপর ভিত্তি করে আপনাকে নির্দিষ্ট একটা কমিশন দিবে। আপনি যত বেশি বিক্রেতা বাড়াতে পারবেন তত বেশি কমিশন পাবেন।

ফেসবুক একাউন্ট অথবা জিমেইল একাউন্ট খুলে ইনকাম

অনেক সময় দেখা যায় মানুষ বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে লাইক বাড়ানোর জন্য কমেন্ট বাড়ানোর জন্য লাইক কমেন্ট কিনে থাকে। আপনি যদি এই কাজে অংশগ্রহণ করেন তাহলে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক একাউন্ট খুলে আপনি ইনকাম করতে পারবেনা। 

প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে? চলুন জানা যাক এ বিষয়ে। এমন অনেক পেজ আছে যেগুলো ফলোয়ার কমেন্ট বাড়ানোর জন্য বায়ার বা ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে লাইক কমেন্ট কিনে থাকে। লাইক কমেন্ট কিনে থাকে নিজেদের ছবিতে লাইক বাড়ানোর জন্য কমেন্ট বাড়ানোর জন্য ভিডিওতে লাইক কমেন্ট বাড়ানোর জন্য যাতে লোকজনের কাছে আপনার আইডি অথবা ছবির ইম্প্রেশন ফুটে উঠে।

তো এই যে এই লাইক কমেন্ট কিভাবে বাড়ায় অবশ্যই ফেসবুক অথবা জিমেইল একাউন্ট যারা খুলে তারা বায়ারকে বিক্রি করে দেয় টাকার বিনিময়ে এই বায়াররা ক্লায়েন্ট খোঁজে কারা লাইক কমেন্ট কিনে তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদেরকে বিক্রি করে।

রেফার করে ইনকাম

রেফার করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রশ্ন হচ্ছে রেফার কি? যে সমস্ত বিশ্বস্ত অ্যাপে আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করেন সেই অ্যাপস এর লিংক পরিচিতি বাড়ানোর জন্য আপনি বন্ধু-বান্ধবদেরকে যেই লিঙ্ক শেয়ার করেন এটার মাধ্যমে সেই অ্যাপস আপনাকে এক্সট্রা কিছু টাকা দেয় এটাকেই রেফার বলা হয়। যেমন উপায় অ্যাপস, নগদ বাইন্যান্স, ফ্রী ক্যাশ ইত্যাদি।

অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ভালো পরিমাণে রেফার ইনকাম দিয়ে থাকে আপনি যদি ওই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে রেফার করেন যেমন বিকাশে আপনি যদি রেফার করেন তাহলে ২৫ টাকা ৫০ টাকা বোনাস পেয়ে যাচ্ছেন। এখন অনলাইনে বিভিন্ন সাইট রয়েছে বিভিন্ন অ্যাপস রয়েছে যেখানে আপনি রেফার করে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন। 

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম 

এড দেখে টাকা ইনকাম করে আপনি দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে অ্যাপস ব্যবহার করে এড দেখে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন সেটা বিশ্বস্ত কিনা। এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো কাজ করার পর টাকা দেয় না অ্যাপস বন্ধ করে দেয় কিংবা কাজ করার আগেই টাকা চায় এগুলা ভুয়া। 
প্রতিদিন-৩০০-৪০০-টাকা-ইনকাম-করুন-বিকাশে-পেমেন্ট

তাই আপনাকে আগে থেকে বিবেচনা করে নিতে হবে আপনি যেই অ্যাপসে কাজ করবেন সেটার রিভিউ কেমন, লোকজন সেখান থেকে আয় করতে পারছে কিনা, কেউ ধোঁকাবাজির শিকার হচ্ছে কিনা, কাজ করিয়ে নিয়ে পেমেন্ট দিচ্ছে না এমন কোন তথ্য যদি আপনি পান তাহলে সেই অ্যাপস এ কাজ না করাই ভালো। খারাপ ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকবেন যেগুলো রেটিং ভালো রিভিউ ভালো মানুষজন ব্যবহার করছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবেন কোনো প্রমাণ ছাড়া অ্যাপস ব্যবহার করবেন না। 
ফেক বা ভুয়া অ্যাপস থেকে দূরে থাকবেন। আপনার বিকাশের পাসওয়ার্ড অথবা OTP কাউকে দিবেন না। বিকাশের পাসওয়ার্ড OTP এগুলো কখনোই অ্যাপস চায় না। বিশ্বস্ত অ্যাপস গুলো সাধারণত জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করতে বলে এবং সেগুলো আগে থেকে টাকা চায় না। তাই এগুলো সতর্কতা অবলম্বন করেই এড দেখে কাজ করবেন আশা করছি।

বিশ্বস্ত অ্যাপস প্লেস্টোর থেকে আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করুন। এই অ্যাপস গুলোতে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তারপরে প্রতিদিন আপনাকে ১৫ থেকে ২০ টা বা তার বেশিও এড দিতে পারে সেগুলো দেখতে হবে এবং এড দেখার পর আপনি সরাসরি উইথড্র করে বিকাশে টাকা পেয়ে যাবেন। 

আপনি যদি আপনার বন্ধুদেরকে এগুলো রেফার করেন তাহলে এই রেফারের কারণে আপনাকে এক্সট্রা কিছু টাকা বা কয়েন অ্যাপস দিয়ে থাকে এখান থেকেও আপনি আয় করতে পারেন। এর সাথে আপনি যদি সার্ভে পূরণ করেন এখান থেকে আপনি এক্সট্রা কিছু টাকা পাবেন। 

বাড়িতে যে সময়টুকু আপনি বসে থাকেন সেই সময়টুকু ৩০ মিনিট ৪০ মিনিট অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অবশ্যই একটা অ্যাপ থেকে আপনি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না যদি চারটা বা পাঁচটার মতন অ্যাপসে অ্যাড দেখেন তাহলে আশা করা যায় দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

গেম খেলে টাকা ইনকাম

আজকাল ঘরে বসে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। গুগল প্লে স্টোরে এখন অনেক গেম রয়েছে যেগুলো খেলার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন বাবুল গেম, লুডু, ফ্রী ফায়ার আরো অনেক গেম রয়েছে যেগুলো আপনি সহজেই খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফুড ডেলিভারি করে ইনকাম

আজকের দিনে অতিরিক্ত সময় কাজে লাগিয়ে আয় করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী অনেকে এখন ফুড ডেলিভারি করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন যেখান থেকে সহজে বিকাশে পেমেন্ট পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিটি এখন অনেকেই গ্রহণ করছেন কারণ এতে কোনো উচ্চ ডিগ্রি বা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। শুধু একটি মোবাইল ফোন ও একটি বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল থাকলেই এই কাজ শুরু করা সম্ভব। 

বর্তমানে ফুড ডেলিভারি কাজ খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। কারণ এটি স্বাধীনভাবে করা যায় এবং সময় মতো কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা যায় বিকাশে পেমেন্টসহ। এই কাজে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কখন কাজ করবেন আর কখন বিশ্রাম নেবেন। পাঠাও ফুড, ফুড পান্ডা, ফুড শাহি ইত্যাদি জনপ্রিয় ডেলিভারি সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে কাজ পাওয়া যায়। 

এই কাজের মূল বিষয় হলো সময়মতো এবং সঠিকভাবে খাবার পৌঁছে দেওয়া আপনি যত ভালোভাবে অর্ডার ডেলিভার করবেন তত বেশি কাস্টমার সন্তুষ্ট হবে অনেক সময় ভালো সার্ভিস দিলে একই কাস্টমার বারবার আপনার কাছ থেকে ডেলিভারি চাইবে ফলে আপনি নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন এমনকি দিনে ৪০০ টাকার বেশি ইনকামও হতে পারে যদি আপনি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তাহলে এই কাজ খুব বেশি কঠিন নয় অনেকে এই কাজকে পার্ট টাইম হিসেবে নেয় আবার কেউ ফুল টাইম। 

ফুড ডেলিভারি এমন একটি পেশা যা আপনাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয় নিজের সময় ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে পেতে পারেন বিকাশে পেমেন্টসহ। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, বেকার যুবক বা যাদের অতিরিক্ত সময় আছে, তাদের জন্য এটি দারুণ একটি আয় করার পথ। 

আপনার প্রথম কাজ হবে আপনার আশেপাশে কোন রেস্টুরেন্টে বা ডেলিভারি সার্ভিসে বেশি অর্ডার করা হয় তা সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করা। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কাছ থেকে আপনি কাজের সুযোগ পেতে পারেন তবে সেই রেস্টুরেন্টে বেশি অর্ডার থাকলে আপনার ইনকাম বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।এই কাজের জন্য আপনি সাধারণত বিকাশ, নগদ অথবা সরাসরি টাকা নিতে পারেন, তবে আপনার সুবিধামত যেকোনো পদ্ধতি বেছে নিতে পারবেন। 

কষ্টের পরই সুখের ফল এই কাজের মধ্যে অবশ্যই কিছু শারীরিক পরিশ্রম এবং সময় ব্যয় হয় তবে মনে রাখতে হবে কাজের প্রতি যত বেশি শ্রম ও মনোযোগ দিবেন তত বেশি ফল পাবেন। অনেক ডেলিভারি কোম্পানি সাপ্তাহিক বা মাসিক পেমেন্ট করে এবং আপনি আপনার ইনকাম বিকাশে নিতে পারবেন তবে অনেক সময় কাস্টমারদের কাছ থেকে সরাসরি ক্যাশও নিতে হতে পারে আপনি চাইলে নিজের বিকাশ নম্বর দিয়ে পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করা একটি সহজ এবং লাভজনক উপায়। বিশেষ করে যদি আপনি ছবি তোলায় আগ্রহী হন বা এতে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা ছবি আপলোড করে তা বিক্রি করতে পারেন। এই ধরনের সাইটগুলো আপনাকে ছবি বিক্রির মাধ্যমে আয় করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইটগুলো হলো Getty Images, Adobe Stock, iStock এসব সাইটে আপনি যে কোনো ধরনের ছবি বিক্রি করতে পারেন যেমন ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক ডিজাইন, অথবা কোনো শিল্পকর্ম।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইটে সাইন আপ করতে হবে এবং তারপর ছবি আপলোড করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। ছবির মান অবশ্যই ভালো হতে হবে কারণ ভালো মানের ছবি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনাকে ছবির সঙ্গে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যাতে ক্রেতারা সহজেই আপনার ছবি খুঁজে পায়।

আপনি যদি এমন ছবি আপলোড করেন, যা বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে, তবে আপনার বিক্রির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। যেমন ব্যবসা, প্রযুক্তি, প্রকৃতি, বা জীবনযাত্রার বিভিন্ন দিক।

এই ধরনের ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব তবে এটি আপনার ছবির মান এবং বিক্রির পরিমাণের উপর নির্ভর করে। আপনি প্রতি বিক্রিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন যা পরে আপনার পছন্দমত পেমেন্ট বিকাশে গ্রহণ করতে পারবেন।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করা একটি ভালো উপায় হতে পারে যদি আপনি সৃজনশীল হতে পারেন এবং ছবি তোলার প্রতি আগ্রহী হন। এটি আপনাকে শুধুমাত্র আর্থিক উপকারিতাই দেবে না বরং আপনার সৃজনশীলতাকে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

কুরিয়ার সার্ভিস করে ইনকাম

কুরিয়ার সার্ভিস করে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা যায়। আজকাল প্রায় কুরিয়ার সার্ভিসের চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিসের অধীনস্থ হয়। আপনি যদি চান তাহলে কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন।  

পার্টটাইম জব করে ইনকাম

আপনি চাইলে পার্টটাইম জব করতে পারেন। পার্ট টাইম জবের মধ্যে আপনি কোন কোন বিষয়ে বেছে নিতে পারেন এর মধ্যে রয়েছে কল সেন্টার কাস্টমার কেয়ার কিংবা অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন।

কুইজ খেলে টাকা ইনকাম

বর্তমানে গুগলে অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনারা চাইলে খুব সহজেই কুইজ খেলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রশ্নের উত্তর দিন সঠিক হলেই আপনি বিকাশে অথবা নগদে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। 
আপনি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যে ওয়েবসাইটের বা অ্যাপসের রিভিউ ভালো মানুষ অতীতে অনেক ইনকাম করেছে এবং বর্তমানে ইনকাম করছে সেই সমস্ত অ্যাপস বা সাইট গুলোতে আপনি কাজ করতে পারেন এবং প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে পারেন।

কোন কাজগুলো করলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করা সম্ভব 

প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিকাশে পেমেন্ট পাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে ছোট ছোট কাজ করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ ডাটা এন্ট্রি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং করে নিয়মিত আয় করা যায় শুধু নিয়মিত সময় দেওয়া এবং সততা বজায় রাখলেই প্রতিদিন বিকাশে পেমেন্ট পাওয়া সম্ভব। 

এমনও হতে পারে যে ছোট কাজ দিয়ে আপনি বড় আয় করতে পারেন অথবা আই সীমিত হতে পারে কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে নিয়মিত ছোট কাজ করলে দিনের শেষে ভালো ইনকাম হয় এটা স্বাভাবিক অনলাইনে সার্ভে পূরণ করা অ্যাপ রিভিউ লেখা বা ছোট ভিডিও তৈরি করা এগুলো করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা যায়। এমনও নয় যে এগুলো কাজে কিছু জটিল সমস্যা থাকে বা বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় তা নয় সহজ কাজ সময় দিতে হয়। 

ফেসবুক বা ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করা অর্থাৎ নিজেই নিজের ভিডিও তৈরি করা পেজ পরিচালনা করা নিয়মিত ভিউ এবং ইন্টারেকশন পাওয়া যায়। আর এই থেকে আপনি আয় করতে পারবেন সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ধৈর্য্য ধারণ করে কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে প্রতিদিন আপনিও ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

বিকাশে টাকা আসে কিভাবে তার পুরো প্রক্রিয়া

অনলাইন কাজের টাকা বিকাশে পেতে হলে পুরো প্রক্রিয়া জানা থাকলে কাজ অনেক সহজ হয় যে কোন প্রার্থনা মেয়ে কাজ করার আগে পেমেন্ট সেট আপে গিয়ে বিকাশ নাম্বার যুক্ত করতে হবে। অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা অ্যাপ সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট দেয় কাজ শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা আপনার একাউন্টে চলে আসে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পেতে সঠিক তথ্য দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুল নাম্বার দিলে পেমেন্ট আটকে যেতে পারে।

যেকোনো অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে তাদের পেমেন্ট সিস্টেম যাচাই করুন সাধারণত ওয়ালেট বা ইওয়ালেট অপশনে বিকাশ নির্বাচন করতে হয় এরপর আপনার বিকাশ নাম্বার এবং নাম সঠিকভাবে দিয়ে সাবমিট করলেই হবে কিছু ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনও প্রয়োজন হয় যেমন এন আই ডি বা ইমেইল যাচাই। 
প্রতিদিন-৩০০-৪০০-টাকা-ইনকাম-করুন-বিকাশে-পেমেন্ট

এই ধাপগুলো ঠিকভাবে করলে প্রতিনিধি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পাওয়া নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠে যদি কখনো সময়মতো টাকা না আসে তবে সাপোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। কাজ শুরু করার আগে নিশ্চিত হন যে যে প্ল্যাটফর্মে সময় দিচ্ছেন তারা বিকাশের টাকা পাঠায় কিনা।

কিছু বাংলাদেশি অ্যাপস বা ছোট ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট সরাসরি বিকাশের পেমেন্ট দেয় আর কিছু আন্তর্জাতিক স্থায়ী তে প্রথমে পেপাল বা পায়োনিয়ারে টাকা যায় তারপর বিকাশে ট্রান্সফার করতে হয় বাংলাদেশে কাজ করলে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট পাওয়া অনেক সহজ। এইভাবে পুরো প্রক্রিয়াটা জানা থাকলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে ঝামেলা ছাড়াই পাওয়া সম্ভব। 

যেগুলো কাজ করলে বিকাশে পেমেন্ট পাওয়া যায় 

প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পেতে হলে কিছু সহজ কাজ জানা থাকা দরকার। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ পরিচালনা ছোট ভিডিও দেখা বা রিভিউ লেখা দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় দিলে এ ধরনের কাজ থেকে নিয়মিত আয় করা সম্ভব সবচেয়ে ভালো দিক হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজ শেষ হলে পেমেন্ট চলে আসে তাই যারা প্রতিদিন আয় করতে চান তারা এসব ছোট কিন্তু নির্ভরযোগ্য কাজ বেছে নিতে পারেন। 

বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইট ও এপস আছে যারা কাজের বিনিময়ে সরাসরি বিকাশে টাকা দেয় যেমন অনলাইন সার্ভে কন্টেন্ট লেখা প্রোডাক্ট মার্কেটিং বা অ্যাপস ডাউনলোড করা সচেতনভাবে এসব প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করলে সহজে কাজ শুরু করা যায় অনেকেই এই ছোট প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পাচ্ছেন নতুনদের জন্য এটি সহজ উপায় কারণ এতে বড় কোনো বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই। 

ফেসবুক বা ইউটিউব এর ছোট মার্কেটিং কাজ করা যেমন কোন পেজে লাইক কমেন্ট দেওয়া লিঙ্ক শেয়ার করা ইউটিউব ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব করা এসব কাজের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়া হয় যা প্রতিদিন নিয়মিত কাজ করলে জমা হয় এ ধরনের কাজের মজার বিষয় হলো সময় কম লাগে কিন্তু আই নিশ্চিত অভ্যাস হয়ে গেলে দিনে কয়েকটি কাজ করে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশের সহজে পেতে পারেন। 

বিকাশে পেমেন্ট দেয় এমন কিছু অ্যাপস 

বাংলাদেশে অনেক অ্যাপ আছে যা ঘরে বসে কাজের সুযোগ করে দেয় এবং সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট করে দেয় প্রথমটি হল টেন মিনিট স্কুল অ্যাপ যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বা ভিডিও কনটেন্ট অংশ নিয়ে আয় করতে পারে।
দ্বিতীয়টি ওয়ার্ক স্টেশন বিডি অ্যাপস যেখানে বাংলা ভাষার ছোট কাজ পাওয়া যায় এবং প্রতিটি কাজের শেষে পেমেন্ট হয় তারপরে রয়েছে আর্নবিডি যেখানে ভিডিও দেখা অ্যাপ ডাউনলোড করে এবং রেফার করে ইনকাম করা যায় নতুনদের জন্য এসব অ্যাপ খুবই সহজ কারণ বড় কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই।

বিকাশে টাকা তোলার নিয়ম ও সতর্কতা 

বিকাশে টাকা তুলতে হলে কাছের বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যেতে হবে এজেন্ট থেকে টাকা তুলতে *২৪৭# ডায়াল করে ক্যাশ আউট অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর এই যে নম্বর টাকা এবং পিন দিয়ে টাকা হাতে নেওয়া যায়। 

সবসময় নিশ্চিত হতে হবে যে এজেন্ট নম্বর সঠিক কিনা কারণ ভুল নম্বরের টাকা খেলে ফেরত পাওয়া কঠিন বিকাশ অ্যাপস থেকেও সরাসরি ক্যাশ আউট করা যায় তবে প্রতিবার ক্যাশ আউট করলে কিছু চার্জ কেটে নেওয়া হয় তাই প্রতিদিন না তুলে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার তুললে চার্জ কম লাগে। 

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টাকা তোলার সময় কখনো পিন বা ওটিপি কাউকে দিবেন না বিকাশ কখনো ফোন করে এই তথ্য চায়না যে আপনার পিন অথবা ওটিপি দেন নিরাপত্তার জন্য বিকাশ অ্যাপ এ ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অপশন চালু রাখুন। 

ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া সহজ উপায় 

অনেকে মনে করেন অনলাইন ইনকাম মানেই ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু এখন অনেক সহজ উপায় আছে যেখানে স্কিল ছাড়াই আয় করা যায় মোবাইল দিয়ে ছোট ছোট কাজ করে দিনে ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় দিলে ইনকাম করা যায়। আপনি যে প্লাটফর্মে কাজ করছেন সেখানে কিছু বিষয় জানতে হবে।
আপনাকে সেই অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ভুয়া কিনা টাকা প্রথমে দেয় তারপরে দেয় না এরকম অ্যাপস বা ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে যেগুলো ওয়েবসাইটের রিভিউ ভালো সেগুলো ব্যবহার করবেন ফেসবুকের যাচাই করা গ্রুপগুলোতেও এই ধরনের ইনকামের সুযোগ শেয়ার হয় সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেশি নিলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পেতে সহজ হয়। 

লেখকের শেষ মন্তব্যে - প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট

আজকের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় এবং বিকাশে সরাসরি টাকা পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পেরেছেন। যদি কোনো কিছু স্পষ্ট না হয় বা আপনার কোনো মতামত থাকে, তবে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।

এই লেখাটি আপনার পরিবার, বন্ধু বা পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করলে তারাও প্রতিদিন ইনকাম করার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পারবে। নিয়মিত আমাদের পোস্ট পড়ে পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনেস্ট ইনকয়ারি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url