সবরি কলার উপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকে আছি যারা কলা খেতে পছন্দ করি। অনেকের কাছে কলা একটি সুস্বাদু ফল। কিন্তু অনেকে আবার কলা খেতে পছন্দ করেন না তারা যদি জানত যে কলাতে কত পুষ্টি এবং উপকার রয়েছে তাহলে তারা নিয়মিত কলা খেত আজ আমি আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো সবরি কলার উপকারিতা এবং এর পুষ্টিগত গুণ কেমন তাই দেরি না করে চলুন মূল কথায় যাওয়া যাক।
সবরি-কলার-উপকারিতা
কলা একটি সহজলভ্য ফল। এটা পুরো বছরই পাওয়া যায় দাম কম পুষ্টিগুণে বেশি। আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয় হচ্ছে নিয়মিত কলা খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। শুধু সবরি কলা নয় সব কলা নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

পেজ সূচিপত্রঃ সবরি কলার উপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা 

নিয়মিত সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা - সবরি কলার উপকারিতা 

কলা একটু বারোমাসি ফল তাই কলা বাজারে সব সময় পাওয়া যায়। কলার মধ্যে পুষ্টির উপাদান ব্যাপক হারে রয়েছে। কলার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, শর্করা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, আমিষ, ফ্যাট বা চর্বি, খনিজ লবণ, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন বি৬, উচ্চমাত্রায় ক্যালোরি সহ আরো বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।

ত্বক সুন্দর রাখার জন্য আমাদের শরীরে ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বককে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

অনেকেই আছে যাদের হার দুর্বল হয়ে গেছে হাটা চলা করার সময় পা ব্যথা করে কষ্ট হয় এটার কি কারণ? এটার মূল কারণ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের অভাব। যদি আপনি ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত সবরি কলা খান। সবরি কলা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে কারণ সবরি কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা শরীরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।

আপনার যদি হজমে সমস্যা হয় কোনো খাবার খাচ্ছেন কিন্তু হজম হতে সময় লাগছে দেরি হচ্ছে তাহলে আপনি সবরি কলা খান। কারণ সবরি কলা হজমের সমস্যা দূর করে। এরই সাথে যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা হয় আপনি প্রতিদিন একটা করে সবরি কলা খাবেন।

যাদের শরীর দুর্বল তাদের উচিত নিয়মিত কলা খাওয়া কোন কলা খাবেন? চেষ্টা করবেন সবরি কলা খাওয়ার কারণ সবরি কলা শরীরের দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কলাতে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যখন কারো শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দেয় তখন রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই এই সমস্যা দূর করার জন্য আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য নিয়মিত সবরি কলা খাবেন।

বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এটার অনেক কারণ হতে পারে কিন্তু মূল কারণ হচ্ছে পটাশিয়াম এর অভাব। যদি আপনার শরীরে পটাশিয়ামের অভাব থাকে তাহলে আপনার কিডনি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন নিয়মিত কলা খাওয়ার জন্য কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা কিডনি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত। কারণ কলাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ রয়েছে এটা অনেক কষ্টকর। তাই কলা খাবেন কলা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

যাদের একটু পর পর ক্ষুধা লাগে তারা কলা খাবেন। কলা অতিরিক্ত ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ক্ষুধা দূর করার ফলে আরেকটা লাভ আপনার হতে পারে সেটা হচ্ছে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। কারণ কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েরা যাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে চান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে চান মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে কলা খাবেন। কলাতে ভিটামিন বি৬ আছে।
   
কলাতে যে পটাশিয়াম রয়েছে সেটা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের হাই প্রেসার আছে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি তারা কলা খাবে নিয়মিত। কলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

অনেকের কাজের চাপ থাকে কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই মেজাজ খারাপ থাকে বিরক্ত অনুভব হয় তারা নিয়মিত সকালে নাস্তার সাথে কলা খাবেন। এতে করে একটু হলেও আপনার খারাপ মেজাজ বিরক্ত অনুভব কমবে।

কলা যে শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এমনটা নয় বরং যাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি রয়েছে সেই ঘাটতি পূরণে কলা সাহায্য করে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন উপাদান বাড়ায় যার ফলে রক্তস্বল্পতার ঝুকি হ্রাস পায়।

প্রতিদিন কয়টা কলা খাওয়া উচিত

আপনি দৈনিক ১-২টা করে কলা খেতে পারেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের সর্বোচ্চ ৩টা করে কলা খাওয়াই উচিত। যদি আপনি একটা খান কোনো সমস্যা নাই দৈনিক একটা কলা খাওয়া অনেক ভালো শরীরের জন্য। এটা মানতেই হবে যে কলা একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল।

অনেকের কলা খেতে এতই ভালো লাগে যে তারা প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকে। এটা কি ঠিক? না মোটেও না। কলা অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়বে। শরীর খারাপ হতে পারে। সব জিনিস একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবার আপনার শরীরকে ক্ষতি করবে।

১টি কলায় কত ক্যালরি থাকে 

আমরা অনেকেই জানিনা একটা কলায় কতটুকু ক্যালরি থাকে। যে কলা গুলো বেশি ছোট না বেশি বড় না অর্থাৎ মাঝারি আকারের সেগুলো প্রায়ই ১০৫ ক্যালরি হয়ে থাকে। এই ১০৫ ক্যালরির মধ্যে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, চিনি, ফাইবার, ভিটামিন। তাহলে আপনি যদি নিয়মিত একটি করে কলা খান তাহলে আপনার শরীর ১০৫ ক্যালোরি শক্তি পাবে। 

আপনি যদি নিয়মিত কলা খান তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, চিনি এবং পানি পাওয়া যাবে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

সকালের নাস্তা হিসেবে আপনি যদি কলা কে বেছে নেন তাহলে আপনি ভিটামিন পাবেন হজমের সমস্যা দূর হবে আপনার অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা বন্ধ হবে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে। যদি সকাল বেলা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাহলে সেটাও দূর করবে। আপনি কাজ করার শক্তি পাবেন আপনার মেজাজ ভালো থাকবে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। 

তবে হ্যাঁ খালি পেটে খাবেন না অবশ্যই নাস্তা খাওয়ার পর কলা খাবেন অথবা নাস্তার সাথে কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সকালে নাস্তার সাথে আপনি একটা অথবা দুইটা কলা খেয়ে নিলেন এতে আপনার শরীরটা ভালো থাকবে। 

কলা খেলে কি মোটা হয় 

অনেকেরই ধারণা যে কলা খেলে মোটা হয়ে যাবে শরীরে ফ্যাট বাড়বে এটা কি সত্য? না আমরা যারা ভাবি যে কলা খেলে মোটা হয়ে যাব এটা আমাদের ভুল ধারনা।বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী কলা খেলে যে মোটা হয় এটা কোথাও পাওয়া যায়নি। কলা খেলে যে ওজনের উপর প্রভাব ফেলবে ওজন বেড়ে যাবে এমনটা না। বরং কলা অতিরিক্ত ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। 

কলা খেলে আপনি এনার্জি পাবেন। আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিন একটা করে কলা খাওয়া। তবে হ্যাঁ যদি আপনি অতিরিক্ত কলা খান তাহলে আপনার ওজন বাড়তে পারে শরীরের সমস্যা দিতে পারে অতিরিক্ত কলা খাওয়া যাবে না। দৈনিক একটা কলাই যথেষ্ট। 

খালি পেটে কলা খেলে কি হয় 

সকালে নাস্তার সাথে কলা খাওয়া আপনার শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু আপনি যদি সকালের নাস্তায় শুধু কলা খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি যার ফলে আপনি সারারাত ঘুমানোর পর সকালে উঠে যখন খালি পেটে কলা খাবেন তখন আপনার শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেড়ে যাবে। তাছাড়া কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের পটাশিয়াম যার ফলে যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তারা যদি খালি পেটে খায় তাহলে তাদের গ্যাসের সমস্যা দূর হবে না উল্টো বেড়ে যাবে। 
সবরি-কলার-উপকারিতা
কলা খালি পেটে খেলে রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আপনি সকালে পাউরুটির সাথে কলা খেতে পারেন অথবা রুটির সাথে কলা খেতে পারেন। অথবা আপনি এক গ্লাস পানি পান করার পর কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে কলা খেলেন।

কলা খাওয়ার অপকারিতা কি কি 

কলা খেলে কি কি হতে পারে সেটা জানা জরুরি। যারা অতিরিক্ত কলা খায় তাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি পাকা কলাতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। আপনার দৈনন্দিন খাবারে যদি কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে অতিরিক্ত কলা খান তাহলে তো আপনার ওজন বাড়বেই। আর ওজন বেড়ে যাওয়া মানেই শরীরে বিভিন্ন অসুখের আগমন হওয়া। 

যারা ডায়াবেটিসের রোগী যাদের ডায়াবেটিস বেশি তাদের কলা খাওয়া উচিত না ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কলা খাওয়া উচিত। কারণ কলাতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা বৃদ্ধি হলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বে।
অতিরিক্ত কলা খেলে হজমের সমস্যা দূর হবে না, পেটে ফাঁপা লাগা, ডায়রিয়া হওয়া, গ্যাস্ট্রিকের  সমস্যায় ভুগতে হবে। অতিরিক্ত কলা খেলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়। 

অতিরিক্ত কলা খেলে রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এর ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। পুষ্টির মূল উপাদান হিসেবে কলাই শ্রেষ্ঠ এটা মনে করে আপনি যদি অতিরিক্ত কলা খান তাহলে আপনাকে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতায় ভুগতে হবে। অল্প খাবেন দিনে একটা খাবেন অতিরিক্ত খাবেন না।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা একটি ঠান্ডা ফল। যাদের ঠান্ডা লেগেছে তারা রাত্রে কলা খাবেন না। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে এবং সর্দি লেগেছে নাক দিয়ে ঘনঘন পানি পড়ছে হাঁচি হচ্ছে তারা যদি এ অবস্থাতে রাতে কলা খেয়ে থাকে তাহলে তাদের শরীরে সমস্যা হতে পারে। এমনটা নয় যে সবাই খেতে পারবেন না যাদের এগুলো সমস্যা নেই তারা একটা করে কলা খেতে পারবেন ঘুমানোর আগে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি রাতে কলা খান তাহলে আপনার ঘুম ভালো হবে। কারণ কলাতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের পেশি গুলোকে আরাম দেয়। আপনি সারাদিন তেলযুক্ত খাবার বেশি খেয়েছেন রাতে ঘুমানোর আগে কলা খেলে পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। যাদের মিষ্টি খেতে পছন্দ তারা কলা খেতে পারেন কারণ প্রচুর মিষ্টি হয়ে থাকে।

কোন কলাতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে 

বিচি কলা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম নাইট্রোজেন ফসফরাস থাকে। এর ফলে শরীরে স্বাস্থ্যকর টিস্যু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যদি কারো আমাশয় পেটে আলসার থাকে তাহলে অবশ্যই বিচি খোলা খাওয়া উচিত এটা ঔষধিগুণ হিসেবে কাজ করে। কাঁচা কলা এবং পাকা কলা দুটোই বেশি উপকারী। কাঁচা কলাতে চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং এটা শরীরের জন্য খুব উপকারী যাদের লিভারে চর্বি, হজমের সমস্যা, ডায়রিয়া তারা কাঁচা কলা খাবেন। 

সবুজ কলা যেগুলোকে আমরা কাঁচা কলা বলে থাকি এগুলো সাধারণত আমরা রান্না করে খাই ভর্তা করে খাই ভেজে খাই সেদ্ধ করে খাই। কলা এমন একটি ফল যা কাঁচা খেলেও উপকার এবং পাকা খেলেও শরীরের জন্য উপকার।
কাঁঠালি কলা খেলে আপনার মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে। বাতের ব্যথা যদি থাকে তাহলে কাঁঠালি কলা খাবেন বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে। হার্ট অ্যাটাক এর ঝুকি কমাতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।

চম্পা কলা পেট পরিষ্কারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ চম্পা কলাতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। সিঙ্গাপুরি কলা আয়রনের ভরপুর। এটি আপনার রক্তস্বল্পতা দূর করে। দেহের পানি শোষণ বৃদ্ধি করে।  

কলার খোসাতে কি কি উপকার রয়েছে 

আমরা অনেকেই কলা খাওয়ার পর কলার খোসা ফেলে দেই কিন্তু আমরা জানি না কলার খোসাতে কত উপকার রয়েছে। প্রিয় পাঠক আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি এখন আমি আপনাদেরকে কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো দিয়ে শেষ করব আজকের এই আর্টিকেল। চলুন জেনে নিই কি কি উপকারিতা রয়েছে। 

আপনার রক্তে যদি খারাপ কোলেস্টরল থাকে ভারতে চর্বি থাকে তাহলে পাকা হলুদ কলার খোসা খাবেন কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আপনার দাঁত পরিষ্কারের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কলার ভেতরের অংশটা নিয়ে কিছুক্ষণ ঘষতে পারেন কয়েক সপ্তাহ গেলেই আপনি বুঝতে পারবেন এতে লাভ হচ্ছে না অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে।
আপনার ত্বকে ব্রণ হলে কলার খোসার ভেতরের অংশটা আপনি আপনার ত্বকে ডলতে পারেন। এতে করে আপনার মুখে ব্রণ গুলো দূর হয়ে যাবে কারণ কলার খোসাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। কলার খোসা অনুজীব হ্রাস করে তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে। এরপরে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ হলে বা কালো হয়ে গেলে কলার খোসার ভেতরের অংশটা ব্যবহার করবেন এতে দাগ দূর হতে সাহায্য করবে। 

কিভাবে করবেন? কলার খোসার ভেতরের অংশটা আপনার চোখের নিচে ঘষতে পারেন। বাচ্চাদের কে পোকামাকড় কামড় দিলে বা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদেরকে পোকামাকড় কামড় দিলে কলার খোসা ব্যবহার করবেন এতে যন্ত্রণা কমে যাবে এবং ক্ষতস্থান টা দ্রুত সেরে যাবে। 

লেখকের শেষ কথা - সবরি কলার উপকারিতা

আজকের এই আর্টিকেলে সবরি কলার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শুধু সবরি কলা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এমনটা নয় বরং আরো অনেক কলা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেমন সিঙ্গাপুরি কলা, বিচি কলা, চম্পা কলা, কাঁঠালি কলা, পাকা কলা খেলে কি হয় কাঁচা কলা খেলে কি হয় সবকিছু আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি কলা খেতে পছন্দ করেন এবং জানতে চান কলাতে কি কি রয়েছে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়বেন এতে আপনি উপকৃত হবেন। আপনি জানতে পারবেন যে একটি কলা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী।

প্রিয় পাঠক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন এবং স্বাস্থ্য মূলক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়াই আমাদের মূল কাজ। ভুল ত্রুটি থাকলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনেস্ট ইনকয়ারি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url