কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান - কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কি কি
বাংলাদেশের ভ্রমণ মানচিত্র কক্সবাজার এমন এক নাম যা প্রায় সবার কাছে স্বপ্নের
মতো। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হওয়ার কারণে এটি শুধু বাংলাদেশ নয় বিদেশি
পর্যটকদের কাছেও অনেক জনপ্রিয় নীল সমুদ্রের অসীম সৌন্দর্য আর চারপাশের পাহাড়
প্রকৃতি মিলিয়ে কক্সবাজার এক অন্যতম ভ্রমণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আজকের আলোচনায়
আমরা জানবো কক্সবাজার দেখার জন্য সেরা দশটি স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ভ্রমণের
পরিকল্পনা করার সময় কোন প্রজেক্টরে দেখার জন্য সেরা ১০ টি স্থান সম্পর্কে আগে
ধারণা থাকলে আপনার ভ্রমন আরো সুন্দর ও আনন্দময় হবে।
কক্সবাজার দেখার জন্য সেরা ১০ টি স্থান সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি কক্সবাজারের আবহাওয়া, হোটেল ভাড়্, সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা যাবতীয় সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে যারা যাননি তাদের জন্য এই লেখা হবে একটি পূর্ণত ভ্রমণ নির্দেশিকা আর যারা আগে গিয়েছেন তাদের জন্য নতুন করে ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজাতে সাহায্য করবে এ তথ্যগুলি।
পেজ সূচিপত্রঃ কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান - কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কি কি
- কক্সবাজার ভ্রমণের সেরা স্থান - কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- কক্সবাজার লাবনী বিচ
- হিমছড়ি
- কক্সবাজারে সেরা ১০ টি রিসোর্ট লিস্ট
- সমুদ্র ভ্রমণের সময় কি কি জিনিস সাথে নিবেন
- কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময়
- কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ ২০২৫
- কত টাকা থাকলে আপনি কক্সবাজারে ঘুরতে পারবেন
- কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য পরিবহন হিসেবে কোনটা কে বেছে নেওয়া উচিত
- কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় কিভাবে যাবেন
- লেখকের শেষ মন্তব্য - কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
কক্সবাজার ভ্রমণের সেরা স্থান - কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
বাংলাদেশ সমুদ্র ভ্রমণের নাম আসলে সবার আগে আমাদের মাথায় মনে পড়ে কক্সবাজারের
নাম। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান
যার প্রতিবছর হাজারো ভ্রমণকারীদেরকে আকর্ষণ করে তোলে। কক্সবাজার শুধু সমুদ্র
রয়েছে এমনটা নয় এর আশেপাশে রয়েছে দ্বীপ পাহাড় সাফারি পার্ক সমূহ নানা
বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য যেটা উপভোগ করলে মনে শান্তি আসে।
কক্সবাজার ভ্রমণে শুধু সৈকত নয় দ্বীপের অভিজ্ঞতাও পাওয়া যায় সেন্ট মার্টিন
দ্বীপ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যেখানে নীল পানি আর নারকেল বাগান রয়েছে যার
সৌন্দর্য অপরিসীম। সেন্ট মার্টিনের রাত এবং দিনের সময় সমুদ্রের যে দৃশ্যটা
মনোমুগ্ধ করে তা বলার বাহিরে।
অপরদিকে মহেশখালী দ্বীপ পাহাড় আর সমুদ্রের মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত এখানে রয়েছে
আদিনাথ মন্দির লবণ খেত ও চিংড়ি চাষের খামার মহেশখালী অনেকের কাছে অনেক পছন্দের
জায়গা। সোনাদিয়া দ্বীপ যেখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখা যায় লাল কাঁকড়ার
দৌড়ঝাঁপ দেখা যায় সেখানকার শান্ত পরিবেশ মনমুগ্ধ করে দেয়।
আপনার যদি শান্তি পরিবেশ পছন্দ হয় তাহলে সোনা দিয়া দ্বীপ আপনার জন্য উপযুক্ত
পরিবারকে নিয়ে যদি আপনি যান তাহলে দুলাল হাজরা সাফারি পার্ক ঘুরে দেখা যেতে পারে
কারণ সেখানে খোলা প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঘ সিংহ হাতি হরিণ সহ নানা প্রাণী দেখা যায়
শিশুদের জন্য এটি একটি দারুণ শিক্ষামূলক ভ্রমণ হতে পারে।
বাংলাদেশের শেষ প্রান্ত টেকনাফ কক্সবাজার ভ্রমণের একটি বড় অংশ নাফ নদীর তীরে
দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা যায় পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্য আর স্থানীয় বাজারের
অভিজ্ঞতা পর্যটকদের ভ্রমণকে আরো সুন্দর করে তোলে এবং টেকনাফ থেকেই সেন্ট মার্টিন
দ্বীপের উদ্দেশ্যে জাহাজ ছাড়ে। তাই বলাই যাই কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা
১০টি স্থান এরমধ্যে এটি একটি অন্যতম। কক্সবাজার ভ্রমণ মানে শুধু সৈকত নয়
বরং দ্বিপ পাহাড় বন্যপ্রাণী আর প্রকৃতির সৌন্দর্য এক সেতু বন্ধন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান কক্সবাজার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর
মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুরো সৈকতটি বালুকাময়, কাদা যুক্ত নয়। দেশ-বিদেশি পর্যটক
এই সমুদ্র সৈকতে আসেন এর মূল কারণ হচ্ছে এর অপরূপ সৌন্দর্য। প্রতিনিয়ত এই
সৌন্দর্য বাড়তে থাকে পরিবর্তন হতেই থাকে। আপনি গ্রীষ্মকালে, বর্ষাকালে, শীতকালে,
বসন্তকালে, যেকোনো সময় ঘুরতে যেতে পারেন সেখানে এমন কোন ঋতু নেই যখন সমুদ্র সৈকত
নিজের সৌন্দর্য পরিবর্তন করে না।
এখানে সুন্দর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আপনি সাগরে গোসল করতে পারেন, ঘোড়াই চড়া, বিচে বাইক চালানো, আকাশে ওড়ার জন্য প্যারাসেইলিং করা, রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড এ যাওয়া যেখানে একুরিয়ামের ভেতরে রয়েছে মিঠা পানি এবং সাগরের বিভিন্ন ধরনের মাছ ও প্রাণী। সেখানে মনে হবে আপনি পানির ভেতরে চলাচল করছেন। কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান এরমধ্যে অন্যতম।
কক্সবাজার লাবনী বিচ
লাবনী বিচ কক্সবাজার শহরের একদম নিকটে অবস্থিত। শহর থেকে কিছুদূর পায়ে হেটে
গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন লাবনী বিচ। এটি কক্সবাজারের কলাতলীতে অবস্থিত যাকে বলা
হয় পুরাতন সমুদ্র সৈকত। লাবনী বিচে আপনি স্পিডবোটে ঘুরতে পারবেন, ঘোড়ায়
চড়তে পারবেন, মোটরবাইক চালাতে পারবেন কিন্তু অবশ্যই টাকা দিয়ে ফ্রিতে কোন
কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। লাবনী বিচে বসার জন্য জায়গা রয়েছে সেখানে বসে নীল
আকাশ নীল সমুদ্র প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এখানে ঝিনুকের বাজার
রয়েছে। বিভিন্ন ছোট বড় দোকান রয়েছে যেখানে পর্যটক নিজের পছন্দ অনুযায়ী
জিনিসপত্র ক্রয় করে থাকেন।
মায়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী দেশগুলো পাহাড়ির সব
পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এই মার্কেটগুলো। কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি
স্থান এরমধ্যে অন্যতম এই বিচে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকরা ঘুরতে আসে কারণ
এটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবথেকে জনপ্রিয় সুন্দরময় দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন
বয়সের মানুষ ছোট বড় শিশু বয়স্ক মহিলা যুবক সবাই এখানে ঘুরতে আসে নীল আকাশ
নীল সমুদ্র প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে তারা ছুটে চলে আসে এই লাবনী
পয়েন্টে এটি কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র হিসেবে বিবেচিত।
হিমছড়ি
হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতের রাস্তাটি অনেক সুন্দর কারণ এর এক পার্শ্বে রয়েছে সমুদ্র
আর অন্য পার্শ্বে রয়েছে সবুজ পাহাড় এবং মাঝি রয়েছে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ
রাস্তা। এরকম সৌন্দর্য দেশে আর কোথাও পাবেন না। হিমছড়িতে রয়েছে নীল আকাশ, সাগর,
পাহাড় এবং বিশেষ করে জলপ্রপাত যা অপূর্ব সুন্দর। তবে এই হিমছড়িতে জলপ্রপাত বা
ঝর্ণা বর্ষাকালে দেখা যায় অন্যান্য মৌসুমে এই ঝর্ণা দেখা যায় কিন্তু পূর্ণতা
পায় না। পর্যটকদের জন্য হিমছড়ি একটি আকর্ষণীয় স্থান।
হিমছড়িতে একই সাথে রয়েছে ঝরনা সমুদ্র পাহাড় যা অন্য কোথাও আপনি খুঁজে পাবেন না। হিমছড়ি পাহাড়ে ওঠার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। হিমছড়ির সবুজ পাহাড় গুলোতে আপনি দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের উপভোগ করতে পারবেন যা কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান এর মধ্যে পরে। পাহাড়ের উপরে রয়েছে বিশ্রামের জায়গা তাই নির্দ্বিধায় আপনি সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। পর্যটকদের বিশ্রাম করার জায়গা অনেক সুন্দর অনেক শান্ত পরিবেশ। এরই সাথে রয়েছে হিমছড়ি ইকোপার্ক, হিমছড়ি পাহাড়ে হিম শীতল ঝর্ণা। পাহাড় থেকে আপনি দেখতে পারবেন বিশাল সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজারের সেরা ১০ টি রিসোর্ট লিস্ট
কক্সবাজারে গেলে সবাই চাই নিরাপদ জায়গায় থাকতে যে জায়গায় খুবই সুন্দর হবে
আরামদায়ক এবং পরিবেশ খুবই ভালো হবে যাতে সমুদ্র উপভোগ করা যায় রিসোর্টে বসে
থেকে। একদিকে যেমন সমুদ্রের গর্জন শোনা যাচ্ছে অন্যদিকে রিসোর্টে আরাম করে বসে
থাকা হচ্ছে যার ফলে ভ্রমণের মজা আরও দ্বিগুণ হচ্ছে।
কক্সবাজারে অসংখ্য রিসোর্ট আছে যা বলার বাহিরে এর মধ্যে বেশ কিছু রিসোর্ট আছে
যেগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয় এর মধ্যে রয়েছে সায়মান বীচ রিসোর্ট এটা অনেক
জনপ্রিয় রিসোর্ট এখান থেকে আপনি সরাসরি সমুদ্র দেখতে পারবেন সুইমিং করতে পারবেন
এখানে সুইমিং পুল আছে রেস্টুরেন্ট আছে। ওশান প্যারাডাইস রিসোর, লং বিচ হোটেল,
হোটেল দা কক্স টুডে, রিগাল প্যালেস, সি পার্ল, সবগুলোই উচ্চমানের রিসোর্ট।
রিসোর্ট বাছাই করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাজেট কত এবং সে অনুযায়ী
প্রয়োজনীয়তা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কক্সবাজার দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
আপনি বাছায় করতে পারবেন রিসোর্ট এ বসে।
যদি আপনি উচ্চমানের রিসোর্ট পছন্দ করেন এবং সেখানে থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই
বেশি মূল্য বহন করতে হবে। আর যদি আপনার কাছে বাজেট কম থাকে তাহলে আপনি সীমিত অথবা
মাঝারি মানের রিসোর্টগুলো যেগুলো রয়েছে সেগুলোতে থাকতে পারেন সেগুলোও আরামদায়ক
হোটেল বেশ সুন্দর হয়ে থাকে।
সমুদ্র ভ্রমণের সময় কি কি জিনিস সাথে নিবেন
সমুদ্র ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস সঙ্গে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ
অনেকে শুধু জামা কাপড় নিয়ে বেরিয়ে যান পড়ে গিয়ে বুঝতে পারেন আরো কিছু দরকার
ছিল। প্রথমত হালকা পোশাক নিয়ে যাবেন কারণ কক্সবাজারের সাধারণত গরম বেশি থাকে।
সমুদ্র সৈকতে হাটার সময় প্যান্ডেল বা স্লিপার ব্যবহার করা খুবই ভালো। যেহেতু
প্রচুর গরম সূর্যের তাপ বেশি তাই সানগ্লাস, টুপি এবং সানস্ক্রিন অবশ্যই সঙ্গে
রাখবেন।
যারা সমুদ্রে নামবেন তারা অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে যেতে হবে ভ্রমণের সময় মোবাইল
ফোন আর পাওয়ার ব্যাংক রাখা দরকার যাতে জরুরী মুহূর্তে যোগাযোগ করা যায়। পানির
বোতল শুকনো খাবার ছোট একটি ফাস্ট এইট বক্স হ্যান্ড স্যানিটাইজার এগুলো রাখতে হবে।
যদি বাচ্চাদেরকে সাথে নিয়ে যান তাহলে তাদের জন্য আলাদা কিছু খেলনা বা খাবার রাখা
উচিত ছোট ছোট প্রস্তুতি নিলে ভ্রমণ ঝামেলা মুক্ত হবে এবং আনন্দময় হয়ে
উঠবে।
কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময়
আপনি যখন ইচ্ছা তখন কক্সবাজার যেতে পারেন কারণ সারা বছর কক্সবাজার ভ্রমণ করা যায়
তবে কিছু সময় আনন্দ উপভোগ বেশি করা যায় এই সময়কে বেছে নিয়ে যদি আপনি যান
তাহলে আরো ভালো। ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস
পর্যন্ত। কারন এই সময়ে শীতকাল থাকে বলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে।
আকাশ থাকে পরিষ্কার সুন্দর আবহাওয়া সমুদ্র হয় শান্ত এবং সবথেকে মজার বিষয় এ
সময় পর্যটকের ভিড় বেশি দেখা যায়। মানুষজন বেশি না থাকলে মজা আসে না। বর্ষাকালে
বা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের সময় কক্সবাজারে উপভোগ কম হয়। কারণ সে সময়টা সমুদ্রে
উত্তাল বেশি থাকে আবার ঝড়-বৃষ্টি ঘন ঘন হতে থাকে যার ফলে ভ্রমণে তেমন উপভোগ হয়
না আবার অনেকে কম ভিড়ের কারণে অফসিজেন যেতে পছন্দ করেন সে ক্ষেত্রে হোটেল ভাড়া
তুলনামূলক কম হয়।
অফসিজেনে যাওয়া অনেক ভালো হতে পারে। তবে সবথেকে উত্তম সময়টা হচ্ছে শীতকালের
সময় এ সময়টা কক্সবাজারে ঘুরে আসা খুবই ভালো একটা সিদ্ধান্ত কারণ সমুদ্র সৈকতে
সূর্যের তাপ কম থাকে বৃষ্টি থাকেনা যার ফলে সৈকতে হাটা চলা করা যায় হিমছড়ি
পাহাড় দেখা যায় ইনানীতে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়।
কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ ২০২৫
ভ্রমণকারীদের সুবিধার জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো প্রতিবছর নানা ধরনের টুর প্যাকেজ
অফার করে থাকে ২০২৫ সালেও নানা ধরনের প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে বা যাবে যেমন দুদিন
এক রাতের ট্যুর তিন দিন দুই রাতের ট্যুর অথবা পরিবারকে নিয়ে বিশেষ ট্যুর প্যাকেজ
হয়ে থাকে। এসব প্যাকেট সাধারণত ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া আসা হোটেল বুকিং
খাবার এবং দর্শনীয় স্থানগুলো ঘোড়া সব কিছুই এই প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়
যারা কম খরচে কক্সবাজার ঘুরতে চান তাদের জন্য বাজেট প্যাকেজ উপযুক্ত যেখানে
সাধারণ হোটেল থাকা এবং স্থানীয় পরিবহনের ব্যবস্থা থাকে আবার যারা বিলাসবহুল
ভ্রমন চান তাদের জন্য ফাইভ স্টার রিসোর্ট এয়ারকন্ডিশন পরিবহন এবং আরো বিশেষ
খাবার সহ প্রিমিয়াম প্যাকেজ নিতে পারেন। এই প্যাকেজ গুলোর সুবিধা হচ্ছে আলাদা
করে কোন কিছু ভাবতে হয় না ভ্রমণের সময় সব ব্যবস্থা ট্যুর কোম্পানি করে থাকে যার
ফলে ভ্রমণের সময় কোন ঝামেলায় পড়তে হয় না আনন্দ উপভোগ শুধু করতে হয়।
কত টাকা থাকলে আপনি কক্সবাজারে ঘুরতে পারবেন
কক্সবাজারে আপনি ঘুরতে যাচ্ছেন এবং আপনি কত টাকা নিয়ে যাবেন বা কত খরচ হবে
সেগুলো আপনাকে চিনতে হবে না করতে হবে এটা স্বাভাবিক তবে এটা নির্ভর করে আপনি কেমন
ভ্রমণ চান তার উপরে। যদি আপনি একবারে বাজেট ধরে ঘুরতে চান তবে প্রায় সাত থেকে
নয় হাজার টাকার মধ্যে ভ্রমণ সম্ভব এতে নন এসি বাস ভাড়া মাঝারি মানের হোটেল
ভাড়া এবং সাধারণ খাবারের খরচ কম ধরা যাবে। আর আপনি যদি ভালো মানের হোটেলে থাকতে
চান সি ভিউ রুম নেন এবং পরিবহন ভালো চান উন্নত মানের খাবার খেতে চান তাহলে আপনার
খরচ ১৫-২০ হাজার ধরে রাখতে হবে।
আপনার ভ্রমণটা হবে অনেক আনন্দময় কোন ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবে না কোন ঝামেলা
হবে না শান্তিতে যাবেন শান্তিতে আসবেন এরকম যদি চিন্তাভাবনা থাকে ভ্রমণ করতে চান
এরকমভাবে যে কোন কষ্ট ছাড়াই যাবো কষ্ট ছাড়াই আসব তাহলে আপনার খরচ দ্বিগুণ রাখতে
হবে খরচ কম থাকলে এরকম সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।
যেখানে ফ্লাইটে যাতায়াত ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা বিশেষ রেস্টুরেন্টের খাওয়ার ভোগ
করা তার জন্য আপনার বাজেট ৩০-৪০ হাজার টাকা ধরে রাখতে হবে যাতে করে আপনি
কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান ভালোভাবে বাছাই করতে পারেন। তাই
বলাই যেতে পারে যে কত টাকা লাগবে বা কত টাকা খরচ হবে সেটা নির্ভর করে আপনার উপর
আপনি কত টাকা খরচ করে যাবেন সেখানে।
কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য পরিবহন হিসেবে কোনটা বেছে নেওয়া উচিত
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো বাস। এসি বাস নন এসি বাস সব
ধরনের সুবিধায় পাওয়া যায় এখন। নন এসি বাসের ভাড়া তুলনামূলক কম থাকে সেটা
বোঝাই যায় সাধারণ মানুষ সেটা অনুমান করতে পারে আর এসির বাসের ভ্রমণটা একটু
আরামদায়ক হয় এবং দাম বেশি হয়। আপনি রাতে বাস ধরলেন সকালে পৌঁছে গেলেন
কক্সবাজারে।
আরও পড়ুনঃ তোকমা ও ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
অন্যদিকে সময় বাঁচাতে চাইলে বিমানে যাওয়া সবচেয়ে ভালো মাত্র এক ঘণ্টা লাগবে
আপনাকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছাতে তবে এর খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। অনেকে
পরিবারকে নিয়ে বন্ধুবান্ধবদেরকে নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যান প্রাইভেটকারে ভ্রমণে
আনন্দ বাড়ে থেমে থেমে পথে নানা জায়গায় ঘোরা যায়। তাই আপনার বাজেট যেরকম
ভ্রমণের পরিবহন টাও সেরকমই বেছে নিতে হবে।
কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার শহর পৌঁছানোর পর দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়া খুব সহজ শহরের ভিতরে ছোট
ছোট জায়গায় যেমন লাবনী বীচ, সুগন্ধা বা কলাতলী বীচ যেতে অটোরিকশা যথেষ্ট।
হিমছড়ি ইনানী বা আরো দূরের জায়গায় যেতে চাইলে সিএনজি রয়েছে, গাড়ি হয়েছে
গাড়ি ভাড়া দিয়ে সারাদিন আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন গাড়িতে বসে। ভাড়া দিয়ে পুরো
পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরা যায়।
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায়
টেকনাফ যেতে হলে বাস বা মাইক্রোবাসে যেতে হবে যেখান থেকে সেন্ট মার্টিনে যেতে
জাহাজ বা ট্রলারি একমাত্র ভরসা। মহেশখালী দ্বীপে যেতে হলে কক্সবাজার শহরের ঘাট
থেকে নৌকা ধরতে হবে। আবার সোনাদিয়ায় যাওয়ার জন্য নৌকা ব্যবহার করতে হবে।
কক্সবাজার ভ্রমণের প্রতিটি জায়গায় বিভিন্ন পরিবহনের ব্যবস্থা আছে আপনার সুবিধা
অনুযায়ী আপনি কোনটা বেছে নিবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে।
লেখকের শেষ মন্তব্য - কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
আজকের আলোচনার মাধ্যমে আশা করি আপনারা কক্সবাজার ঘুরে দেখার জন্য সেরা দশট
স্থানের বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এই আর্টিকেলটি ভ্রমণকারীদের জন্য এক ধরনের
দিকনির্দেশনা যেখানে সমুদ্রের সৌন্দর্য থেকে শুরু করে পাহাড় দ্বীপ ও
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবকিছুর ঝলক তুলে ধরা হয়েছে, ভ্রমণ করার আগে যদি আপনার মনে
কোন প্রশ্ন থাকে অথবা কোন মতামত আমাদের জানাতে চান তাহলে নিচের মন্তব্য ঘরে লিখে
জানাতে পারেন আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের এই লেখা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না আপনার
শেয়ারের মাধ্যমে পরিবার বন্ধু এবং পরিচিতিদের কক্সবাজারের ভ্রমণের স্থানগুলোর
সঠিক তথ্য জানাতে পারবেন এবং তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আরো সহজ হবে আশা করি। ভ্রমণ
শুধু বিনোদন নয় এটি এক ধরনের অভিজ্ঞতা আরসে অভিজ্ঞতাকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে হলে
আগে থেকে সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। এই তথ্যগুলো আপনাদের ভ্রমণকে করবে আরো
আনন্দময় নিরাপদ এবং স্মরণীয় সুন্দর মুহূর্ত তৈরি হোক ধন্যবাদ সবাইকে এত ধৈর্য
সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
অনেস্ট ইনকয়ারি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url